বাংলা রহস্য গল্পের ইতিহাস

“.............আমাদের দেশের অপরাধগুলো ভীরু ও নির্বোধ; অপরাধগুলো নির্জীব ও সরল, তাহার মধ্যে দুরূহতা দুর্গমতা কিছুই নাই। আমাদের দেশের খুনি নর রক্তপাতের উৎকট উত্তেজনা কোনোমতেই নিজেদের মধ্যে অববরন করতে পারে না। জালিয়াত যে জাল বিস্তার করে তাহাতে অনতিবিলম্বে নিজেই আপাদমস্তক জড়াইয়া পড়ে। অপরাধবূহ্য হতে নির্গমনের কূটকৌশল সে কিছুই জানে না।” বাঙালীদের ভালোমানুষিকতা (!) নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘ডিটেকটিভ’ ছোটগল্পে যতোই আক্ষেপ করুক না কেন; বাঙালীর মনের রহস্যের খাতা যিনি খুলতে পেরেছিলেন, তার পক্ষে তো বাঙালীদের রহস্যপ্রিয়তা নিশ্চয়ই অজানা নয়! নইলে তার পক্ষে ‘নিশীথে’, ‘কঙ্কাল’ কিংবা ‘গুপ্তধনের’ মতো লেখা সম্ভব হতো না! অবশ্য রহস্যপ্রিয়তা যে বাঙালীর নিজস্ব সম্পত্তি মোটেও তা নয়; বরং বলা যায় মানুষ মাত্রই রহস্যপ্রিয়।তা না হলে খৃস্টের জন্মের ৮০০ বছর পূর্বেই মহাকবি হোমার তার ওডিসি’র (Odyssey) মাধ্যমে যে রহস্যের রস মানবজাতিকে উপহার দিয়েছিলেন তার নেশা আজও কাটেনি। শিরশিরে অনুভুতি জাগানো-সূক্ষ্ম বুদ্ধি আর যুক্তির খেলা আর সাথে সাসপেন্স-ক্লাইম্যাক্স পরিপূর্ণ এই গল্পগুলোতে সাধারণত দেখা যায় গল্পের কেন...