কাছে আসার প্রকৃত গল্প


সারাদিন তো অনেক মানুষকে আপনি-আমি সবাই চোখের সামনে দেখছি, কিন্তু কই সবাইকে তো ভালো লাগে না! আবার কখনো কখনো দিনরাতের সময়জ্ঞান ভুলে সব সময় একজন মানুষের কথা ভাবতেই ভালো লাগছে, তাকে কাছে পাতে চাইছি। কিন্তু কেন? আমরা কারোও প্রতি বেশী আকর্ষণ, কারও প্রতি কম আকর্ষণ এবং কারও প্রতি একদমই আকর্ষণ অনুভব করি না কেন? কেন? The Why?

বেরসিক বিজ্ঞানের ভাষায় যদি বলি, তাহলে প্রেম বা ভালোবাসা যেই নামে ডাকা হোক না কেন, এটা হচ্ছে মূলত আমাদের ব্রেইনের থ্যালামাস নামক যে অংশটি রয়েছে তার রাসায়নিক অবস্থা। এই লেখাটিতে ব্রেইনের এইসব রসায়নের পাশাপাশি অন্যান্য কিছু কারণ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে।  

শুরুতেই বিবর্তনবাদ। এককথায়  বিবর্তনবাদ সম্পর্কে যদি বলি (এটা কিন্তু আপনি আগে থেকেই জানেন), আমরা আমাদের বংশধর টিকিয়ে রাখতে চাই। অর্থাৎ আমাদের ডিএনএ তে যে জিন রয়েছে; আমরা চাইবো যেকোন মূল্যে এই জিন টিকে থাকুক যুগের পর যুগ। আমরা যদি একদম প্রাগৈতিহাসিক যুগে চলে যাই, তাহলে দেখব- সেইসব সময়ে মানুষের কাজ ছিল মূলত দুইটা।এক. খাবার খেয়ে বেঁচে থাকা, আর
দুই. বংশবৃদ্ধি করা।
বংশবৃদ্ধির মাধ্যমেই মূলত মানুষ তাদের জিন, পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে প্রবাহিত করে। এবং মানুষ চায় তার বংশধর যেন সুস্থ্য এবং সবল হয়।

এক্ষেত্রে আরেকজনের প্রতি আকর্ষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে fertility (!) যে মহিলা যত fertile তার প্রতি ছেলেদের আকর্ষণও বেশী। একইভাবে ছেলেদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। কিছুটা উল্টোপাল্টো লাগছে?
ওকে। তাহলে এখানে fertility বলতে কি বোঝানো হয়েছে, সেটা জানা যাক।
প্রাচীনকাল থেকেই এটা হয়ে আসছে যে, যেসব মেয়েদের hip যত প্রশস্ত তারা তত সুস্থ্য সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম। সুতরাং বিবর্তনবাদের মতে, মেয়েদের প্রতি ছেলেদের আকর্ষণটা মেয়েদের hip থেকে শুরু হয়। এটা ছিল প্রাচীনকালের ব্যাপার-স্যাপার। পরবর্তীতে hip এর সাথে waist চলে আসে। নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণের পিছনে এই waist-hip ratio এর বিশাল ভূমিকা আছে একেক সমাজে একেক রকম হইলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে আদর্শ waist-hip ratio হইলো.অর্থাৎ কোন মেয়ের কোমড়ের মাপ যদি হয় ২৪. ইঞ্চি আর নিতম্ব যদি হয় ৩৫ ইঞ্চি; তাহলে তার waist-hip ratio হবে ২৪./৩৫ = . এবং সে আদর্শ দেহের অধিকারিণী হিসেবে বিবেচিত হবে। ছেলেদের ক্ষেত্রে এটা .
মজার ব্যাপ্যার শরীরের এই অনুপাত  আমাদের মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চিনতে পারে!
এখন আমরা একটু মেয়েদের ব্যাপারটাও আলোচনা করে নেই। মেয়েদের ক্ষেত্রে উন্নত বংশধর জন্ম দেয়ার সাথে সাথে আরেকটা চিন্তা কাজ করে, এটা হলো নিরাপত্তা। তার সঙ্গী তাকে কতটা নিরাপত্তা দিতে পারবে?
প্রাচীনকালে নিরাপত্তা বলতে নানা রকম বিপদ-আপদ-আক্রমণ থেকে রক্ষা করাকেই বোঝানো হত; আর এখন আধুনিক সমাজে এটা অনেকটাই সামাজিক নিরাপত্তার ব্যাপার হয়ে গেছে। তারা সেই ছেলেটার প্রতিই আকৃষ্ট হবে, যাদেরকে দেখলে মনে হয় আমাকে খুব ভাল নিরাপত্তা দিতে পারবে বা আমার খুব ভালভাবে যত্ন নিবে।


এবার আমরা আকর্ষনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব থেকে বেরিয়ে যদি এর পিছনে  সামাজিক কারণগুলোর দিকে নজর দেই। তাহলে কি পাব
একটা ডিকশনারি!!! না মানে, কিছু খটমেটে নাম পাব (!) সেইজন্য লাগবে আর কি।
ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না। আমি তোমায় মারব না। না, থুক্কু... এইসব খটমটে নাম আপনাদের আশাকরি দরকার হবে না।  

আপনার ভালোবাসার মানুষটার কথা একটু মনে করার চেষ্টা করুন এবং তার যদি সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি যতবার প্রেমে পড়েছেন সবগুলোর কথা মনে করুন দেখি। করেছেন তো?
তো আপনি কার প্রেমে পড়েছেন কিংবা পড়েছিলেন? হয়তো পাড়ার কোন মেয়ের প্রেমে বা ক্লাসের কোন ছেলের কিংবা চাচাত-মামাত-খালাত-ফুফাত ব্লা ব্লা ব্লা……
আসলে এই লিষ্ট বানিয়ে শেষ করা যাবে না! কাজেই ঐ দিকে না যেয়ে কাজের কথা আসি। আমরা আসলে সেসব মানুষের প্রতিই আকৃষ্ট হই যারা মূলত আমাদের আশেপাশেই থাকে। আমরা। মানে হইল, যাদের সাথে আমাদের দেখা-সাক্ষাত কিংবা নিকটবর্তিতা যত বেশী, তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও ততো বেশী। ওকে?  

এবার তাহলে আসা যাক, আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে আপনি কেন ভালোবাসেন? ইয়ে, মানে...ইয়ে...আসলে সে ঠিক আমার মত; তার চিন্তা-ভাবনা, চাল-চলন, দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক আমার মতনই।
আসলে আপনি ঠিক তার প্রতিই আকৃষ্ট হবেন, যে কিনা আপনাকে বুঝতে পারে। এখন আপনি চাচ্ছেন উত্তর মেরুর জিনিশ, কিন্তু পেলেন দক্ষিণ মেরুর (!) তাহলে ব্যাপ্যারটা কি দাঁড়াবে।

এবার একটা রিসার্চের কথা বলব। পাওয়ারপয়েন্টের সাহায্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে প্রথমে আলাদা আলাদাভাবে কিছু মানুষের ছবি দেখানো হলো। প্রতি সেকেন্ডে তিনটা করে। এবার একটা গোপন ক্তহা ফাঁস করি! এই ছবিগুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ছবি একাধিকবার দেখানো হয়। বাকীগুলো শুধু একবার করে আসে। পরে যখন তাদের সামনে সব ছবিগুলো রেখে, যেকোন একটা ছবি বেছে নিতে বলা হয়; তখন দেখা গেল- প্রায় সকলেই এমন ছবি বেছে নিয়েছে যেটা কিনা একাধিকবার এসেছিল। অর্থাৎ সেই মুখগুলো তাদের কাছে চেনা-পরিচিত হয়ে গিয়েছিল। এই রিসার্চের ফাইন্ডিংটা নিয়ে যদি কথা বলি, তাহলে এটা বলছে; আপনি ঠিক তার প্রতিই আকর্ষণ অনুভব করবেন, যে কিনা আপনার পরিচিত। কোন না কোনভাবে। ঠিক আছে?

যেকোনো বাংলা সিনেমা (!) কি দেখা যায়? নায়ক বেচারা অপরাধ জগত থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু একা সে সেখান থেকে বের হতে পারছে না। এমন সময় নায়িকার সাথে তার পরিচয় ঘটে। এবং নায়িকা তাকে সেই জগত থেকে তাকে ঠিকেই বের করে নিয়ে এরপর ব্যকগ্রাউন্ডে গান বাজতে থাকে, “তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন........”
মানে হইল, দুইটা আক্যাইমা (!) একা একা কাজ করতে পারে না। এইবার বাস্তব জীবনে আসা যাক, মনে করুন, আপনি একজন সৎ ও নিরপেক্ষ পুলিশ অফিসার, না থুক্কু প্রেমিক। এখন আপনি ছেলে
হিসেবে আমি কারও যত্ন নিতে চান, আর একজন মেয়ে চায় কোন ছেলে তার যত্ন নিক; সুতরাং আপনারা একে অপরকে চান! একে অপরের পরিপূরক!

এতোসব আলোচনা থেকে এতোক্ষণে এটা বোঝা হয়ে গেছে যে, এই আকর্ষণের আসলে নির্দিষ্ট কোন কারণ হয়তো নাই। বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে কারণটা হয়ত বিভিন্ন রকম। তবে সত্যি কথা কি, এই কারণগুলো আসলে মোটা দাগে প্রযোজ্য। আপনার-আমার ক্ষেত্রে হয়ত মিলছে না, কিন্তু অধিকাংশের ক্ষেত্রে এর পুরোটাই কিংবা অনেকটাই মিলে যায়।


এবার আকর্ষনের ধাপগুলো সম্পর্কে মানে কয়ধাপে ঘটে! বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমাদের আরেকজনের প্রতি যে আকর্ষন জন্মে সেটা তিন ধাপে ঘটে থাকে। Lust, Attraction, Attachment

প্রথম পর্যায়ঃ Lust
আমরা, অতি রোমান্টিকরা যতই রোমান্টিকতার বুলি আওড়াই না কেন, আমরা যে মতবাদেই যাই না কেন মানি আর না মানি, আকর্ষণের একদম মূলে আছে lust বা কাম!  
আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা হচ্ছে Physical Attractiveness এর! আর এজন্য প্রথমে আসবে body measurement এর কথা। একটা ছেলে যখন একটা মেয়ের দিকে প্রথম দেখে কিংবা একটা মেয়ে যখন একটা ছেলের দিকে প্রথম দেখে তখন বাকী সব কিছু ছাপিয়ে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে শারীরিক আকর্ষণীয়তা। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই body measurement তথা physical attractiveness হলো মূল কথা। (প্রথমেই waist-hip ratio এর কথা বলেছি)
এরপরে
যেটা চলে আসবে সেটা চেহারার সৌন্দর্য। আদর্শ দেহের অধিকারী বা অধিকারিণী যদি চেহারা সুন্দর না হয়, তাহলে আবার তার প্রতি সকল আকর্ষণ শেষ! উড়ে গেছে।

এবার এই চেহারার আকর্ষণের ক্ষেত্রে কিছু মজার ব্যাপার-স্যাপারের কথা বলি,
 ১) খুবই উন্নত মানের ফটোশপ ব্যবহার করে যদি আমাদের নিজেদের চেহারা বিপরীত লিঙ্গের চেহারায় পরিণত করা হয়, আমরা সেটাকে সবচাইতে বেশী আকর্ষণীয় চেহারা হিসেবে বিবেচনা করব!
২) যদি চেহারার বাম দিক, ডান দিকের প্রতিফলিত রূপ হয়; তবে সেই চেহারাও সবচাইতে আকর্ষণীয় মনে হয়।
৩) চেহারার সৌন্দর্য অনেকটাই golden ratio নামক এক অনুপাতের সাথে কিছুটা সম্পর্কিত। এবং এক্ষেত্রেও নারী-পুরুষের আদর্শ চেহারার measurement আছে। নাকের অবস্থান, চোখের দূরত্ব, ঠোঁটের প্রশস্ততা, এসব বিষয়ের প্রতিও সৌন্দর্য নির্ভর করে।
৪) ছেলেদের কাছে মেয়েদের মেয়েলী চেহারা আর মেয়েদের কাছে ছেলেদের পুরুষালী চেহারা বেশী আকর্ষণীয়। তবে গায়ের রং এর ব্যাপারটা আপেক্ষিক। যার যেটা ভাল লাগে আরকি।


দ্বিতীয় পর্যায়ঃ Attraction
এবার যখন একটা ছেলে আর একটা মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সেটা অবশ্যই Lust এর তাড়নায়; তার কিছুদিন পড়ে সেই সম্পর্ক Attraction উন্নিত হয়।
আকর্ষণের  এ পর্যায়ে
বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের চাইতেও অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য মুখ্য হয়ে ওঠে। ব্যক্তিত্ব, আচরণ এসব বিষয় মুখ্য হয়ে উঠে তারা যদি একে অপরের সাথে মানিয়ে নিতে পারে, তবে তাদের সম্পর্ক আরোও সামনে অগ্রসর হয়। কিন্তু যদি একে অপরের সাথে মানিয়ে নিতে না পারে, তবে তারা যতই সুন্দর হোক না কেন; সেই সম্পর্ক টিকে না। 
তবে এই পর্যায়েও কিন্ত lust ঠিকই active থাকে।


তৃতীয় পর্যায়ঃ Attachment সম্পর্কের পরবর্তী এবং সর্বোচ্চ ধাপ হল Attachment এই পর্যায়ে পৌছানো হল দীর্ঘ সম্পর্কের পূর্বশর্ত। এইসময়ে তারা একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে। কিন্তু ছেলে এবং মেয়ের Lust যদি এই সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছানোর আগেই পূরণ হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ক ক্ষণস্থায়ী হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।

সুতরাং সারমর্ম হচ্ছে, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি। এই আকর্ষণের পিছনে সবচাইতে বড় কারণ হচ্ছে sexual desire
যদিও শারীরিক আকর্ষণীয়তা বা সৌন্দর্য একটা বড় কারণ কিন্তু খণ্ডকালীন (!) দীর্ঘকালীন কারণগুলোর মধ্যে আছে পারস্পরিক বোঝাপড়া, একে অপরের সাথে মানিয়ে নেয়ার প্রবণতা, ছাড় দেয়ার মানসিকতা ইত্যাদি!


প্রেমে পড়লে নাকি বুদ্ধি-সুদ্ধি লোপ পায়! আসলেই নাকি?
ওকে, আমাদের ৩ পাউন্ড ওজনের যেই ব্রেইনটা আছে, সেখানে বাদামের মতন দেখতে একটা ছোট্ট অংশ আছে। অ্যাম্যাগডালা। আর ব্রেইনের উপরের কর্টেক্স নামক অঞ্চলে  কিছু কিছু এলাকা আছে যেটা আমাদের ভয়-ভীতি নিয়ন্ত্রণ করে, তারপর হঠাৎ করে সৃষ্ট বিপদজনক পরিস্থিতি সামলানো ইত্যাদি কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
দেখা গেছে, প্রেমের এই সময়গুলোতে ব্রেইনের এই অংশগুলোর কাজ প্রায় একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়! যার ফলে এইসময় ভয়ভীতি কিংবা ‘ক্রিটিক্যাল’ চিন্তা করার মতন বিষয়গুলো ঠিকঠাক মত কাজ করে না!


অনেককিছু বলা হয়ে গেছে। এবার আসা যাক, আপনার আর আপনার প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার কাছে আসার পিছনে প্রধান কারণটি কি, সেটি নিয়ে। কি সেটা?
আপনি হয়ত মাথা চুলকাতে শুরু করেছেন। কি হতে পারে... কি হবে...
আমি বলি?

ডোপামিন।
- কি এইটা?
- নিউরোট্রান্সমিটার।
- অ্যা!!!! খালি এইটাই!!! আর কিছু না?
- হ্যাঁ, ডোপামিনের আরো কিছু সাঙ্গপাঙ্গ আছে। সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন, ভেসোপ্রেসিন, এন্ডোরফিন, ফিনাইলেথাইলামিন, নরএপিনেফ্রিন এরকম কয়েটা চ্যালা আছে।

রাটগার্স ইউনিভার্সিটির কয়েকজন বিজ্ঞানী মিলে ৪০ জন প্রেমে পড়া ছাত্রছাত্রীর উপরে এক গবেষণা চালান। প্রেমিক-প্রেমিকাদের সামনে তাদের ভালোবাসার মানুষটির ছবি রাখা হয়। এরপর তাদের ব্রেইনের fMRI করা হয়। দেখা যায়, সেসময় তাদের ব্রেইনের ভেন্ট্রাল ও কডেট নামক অংশগুলো বেশ উদ্দিপ্ত হচ্ছে। এবং সেখান থেকে একটু আগে যে ডোপামিনের নাম নিলাম সেটা খুব বেশী পরিমাণে নিঃসরণ ঘটছে!
অবশ্য ভালোবাসার পেছনে শুধুমাত্র ডোপামিনের প্রভাব আছে, ডোপামিনের ঘোর সমর্থকরাও এই দাবি করবে না। কেননা অন্যান্য কিছু ব্যাপ্যার-স্যাপার যেমন, গাঁজা কিংবা কোকেইন সেবন করলে, এমনকি চকলেট খেলেও এই ডোপামিনের নিঃসরণ বেড়ে যায়!

তবে, ভালোবাসার পিছনে যে এই ডোপামিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। বরং ডোপামিনসহ অন্যান্য হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটারগুলো ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে মানে প্রেমিক-প্রেমিকার বন্ধন টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে। এই পর্যন্তই থাক আমাদের কাছে আসার প্রকৃত গল্প... 


[৩০ জুন, ২০১৪। সাইকোলজি রিডিং ক্লাবের ৬ষ্ঠ পাঠচক্র। বিষয়, আকর্ষণের বিজ্ঞান। বক্তা ফিরোজ শরীফ। বক্তার সেই বক্তব্য কিছুটা পরিমার্জিত কিংবা পরিসংশোধিত যাই বলি না কেন, এটা লেখা হয়েছে। যদিও লেখার মূল কংকালটি ফিরোজ শরীফের তৈরি করা!] 
  

    

Comments

Popular posts from this blog

বাংলা রহস্য গল্পের ইতিহাস

বিনীতা এখন কেমন আছো

ইজমের ঘরবসতি (পর্ব ১)